
শীতের শহরে রহস্যের গন্ধ—আর সেই গন্ধের দিকেই হেঁটে আসছে অরিন্দম শীলের নতুন ছবি ‘একটি খু.নের সন্ধানে মিতিন’
ছবির রিলিজের আগে পরিচালক ও প্রযোজকদের সঙ্গে গল্প আড্ডায় জমে উঠল এক অন্যরকম খুনসুটি—যেন মিতিন মাসির ঠান্ডা মাথার তদন্তে মাঝেমধ্যেই ঢুকে পড়ছে হাসি-ঠাট্টার ‘এভিডেন্স’!
—
প্রোমোশন প্ল্যানিং নিয়েই শুরু খুনসুটি
চায়ের কাপ হাতে পরিচালক অরিন্দম শীল প্রথমেই বলে উঠলেন—
“দেখো, ক্রাইম-থ্রিলার বানানো যতটা কঠিন, তার থেকেও কঠিন হলো আজকাল প্রোমোশন করা! দর্শককে আগ্রহী করতে হবে, আবার ক্লু-গুলো যেন বেশি না ফাঁস হয়ে যায়!”
প্রযোজক সঙ্গে সঙ্গে হেসে উত্তর দেন—
“তার মানে আমরা মিতিনের মতোই এখন ‘ডাবল কনফিডেনশিয়াল’ মোডে? পোস্টার রিলিজ করবো, কিন্তু এতটাই মিস্ট্রি রেখে যে দর্শক ভাববে—আসলে খুনি কে?”
অরিন্দমবাবু হাসতে হাসতে বলেন,
“ঠিক তাই! এ বার ট্রেলারেও থাকবে ক্লু, আবার ক্লুর ভিতরেও একটু ভুল–যাতে দর্শক সিনেমা হলে ঢুকেই তদন্ত শুরু করে।”
—
প্রোমোর নয়া কৌশল—মিতিনের স্টাইলে
আড্ডা জমে উঠতেই বেরিয়ে এল এই ছবির প্রচারের নতুন সব পরিকল্পনা—
মিতিনের ডায়েরি সিরিজ – সোশ্যাল মিডিয়ায় ছোট ছোট ভিডিও, যেখানে ‘মিতিন’ নিজের তদন্ত নোট শেয়ার করবে।
ইন্টারঅ্যাকটিভ কুইজ – দর্শককে খুনের ধাঁধা সমাধানের চ্যালেঞ্জ।
স্ট্রিট ইভেন্ট – শহরের নানা সিগনেচার লোকেশনে খুনের ক্লু লুকিয়ে রাখা থাকবে, খুঁজে পেলে মিলবে ছবির বিশেষ মের্চেন্ডাইজ।
ডিটেকটিভ ক্যাফে পপ-আপ – যেখানে থাকবে ছবির পোস্টার, কেস-ফাইল, আর সঙ্গে কফির কাপের তলায় ‘গোপন বার্তা’।
প্রযোজক মজা করে বললেন,
“এবার মনে হচ্ছে, ছবির প্রোমোশন করছি নাকি আসলেই কোনো কেস সল্ভ করতে বেরিয়েছি!”
—
মিতিনকে কেন্দ্র করে শীতের শহরে ‘রহস্য–উৎসব’
অরিন্দম শীল বলেন,
“আমাদের লক্ষ্য শুধু সিনেমা রিলিজ নয়—পুরো শহরকে একটু হলেও মিতিনের তদন্তের তালে নাচানো।
যাতে শীত পড়তেই মানুষ বলে—এই সেই সময়, যখন নতুন একটা রহস্য নিয়ে ফিরছে মিতিন!”
আড্ডার শেষে পরিচালক-প্রযোজকদের হাসি-ঠাট্টার মধ্যেই পরিষ্কার—
এই শীতে শুধু ঠান্ডাই নয়, কলকাতার অলিগলি ভরবে রহস্য, উত্তেজনা আর মিতিনের দৃঢ় পদচারণায়।
আর দর্শকেরা?
তারা তৈরি—অপেক্ষা শুধু ‘একটি খু.নের সন্ধানে মিতিন’ বড় পর্দায় তদন্ত শুরু করুক!
