সিদ্ধার্থ রায় চৌধুরী : ” GOD made country, Man made town.” এই প্রবাদ বাক্যটি বতর্মান সুন্দরবনের গোসাবায় এলে খুব মনে পড়ে। ভগবান তরুছায়া সমৃদ্ধ সবুজ বনানীর গ্রাম তৈরি করেন মানুষ তৈরি করে শহর। আজকাল আধুনিক যান্ত্রিক যুগ-সভ্যতার ছোঁয়ায় সুবজ সুন্দরবনের কিশোররা এবং যুব সমাজ খেলাধুলা বিমুখ হয়ে পড়েছে। সবাই এখন মুঠোফোনের মধ্যে তাদের জগৎ তৈরি করে নিয়েছে। আগে গোসাবা ও সংলগ্ন অঞ্চলে প্রচুর খেলাধুলার মাঠ ছিল, চর্চাও ছিল। এখন সেই অনুভূতি অবলুপ্তির পথে। বাকি যতটুকু বেঁচে আছে সেগুলি সেইভাবে খেলাধুলার জন্য ব্যবহার হয় না।

ষাট -সত্তর দশকে “স্যার ড্যানিয়েল ম্যাকিনন হ্যামিল্টন মেমোরিয়াল শিল্ড”-এর সাড়া জাগানো ফুটবল খেলা অন্যান্য খেলাধুলার মতো ধুমধামে সাঙ্গ হতো। সেখানে স্থানীয় ক্লাবগুলো ছাড়া কলকাতার ডিভিশন ক্লাবও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতো। এখন সে সব ইতিহাস হয়ে গেছে। ক্রিড়া বিমুখতা থেকে যুব সমাজকে সুস্থ সুন্দর জীবনের পথ দেখানো হলো সম্মিলনীর আসল উদ্দেশ্য। “গোসাবা জোনাল ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫”, “হ্যামিল্টন মেমোরিয়াল ফুটবল কাপ” -এর মাধ্যমে খেলাধুলার হৃত অভ্যাস পুনরায় ফিরিয়ে আনার ব্রতে “সুন্দরবন গোসাবা সম্মিলনী” ব্রতী হয়েছে।

বিভিন্ন ফুটবল দলগুলোর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ নকআউট প্রতিযোগিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যা অজান্তে বেশকিছু অপরিহার্য বিষয়কে সামনে নিয়ে আসে—-

১। বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতার পরিবেশ : নকআউট প্রতিযোগিতা একটি উচ্চ-চাপের পরিবেশ তৈরি করে, যেখানে প্রতিটি ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিবেশে খেলোয়াড়রা তাঁদের সেরাটা দিতে বাধ্য হয়, যা তাঁদের দক্ষতা এবং মানসিক দৃঢ়তা উভয়কেই প্রদর্শন করে।

২. স্কোয়াডের গভীরতা : প্রতিটি দল তাদের সেরা খেলোয়াড়দের মাঠে নামানোর চেষ্টা করে। এর ফলে দলগুলি তাদের স্কোয়াডের গভীরতা এবং খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পায়।

৩। নতুন প্রতিভা আবিষ্কার : নতুন প্রতিভার জন্য আয়োজকদের বিশেষজ্ঞরা নজর রাখেন, যেখানে খেলোয়াড়দের প্রযুক্তিগত দক্ষতা, শারীরিক ক্ষমতা এবং কৌশলগত বোঝাপড়া তাঁদের মূল্যায়ন করার কাজটাকে সহজ করে তোলে। নতুন প্রতিভার অন্বেষণের একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্ম।

৪। খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি : ভালো পারফর্ম করলে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বাড়ে, যা তাঁদের ভবিষ্যতে আরও ভালো খেলতে উৎসাহিত করে।

৫। অনাবিল আনন্দ প্রদান যা সার্বিক জীবন বিকাশের সহায়ক। অংশগ্রহণকারী দল : গোসাবার ১৬ টি অঞ্চলের ১৬ টি ফুটবল দল* ১২.১০.২৫ শুরু আর ফাইনাল খেলাটি হবে সুন্দরবনের সৃষ্টিকর্তা স্যার ড্যানিয়েল হ্যামিলটনের জন্ম ও মৃত্যু দিবসে গোসাবা বিডিও অফিস মাঠ : ৬.১২.২৫ তারিখ শনিবার, বেলা ২.৩০ টায় ফাইনাল খেলা*। দূর্গাপদ সাঁফুই, আলতাফ,সুনীল মন্ডলেরা এবং বাকি সুন্দরবনের ভূমিপুত্ররা অনেকেই মিলে গড়া এই ” সুন্দরবন গোসাবা সম্মেলনী” সুন্দর একটি প্রয়াস। এছাড়া গোসাবা ব্লকের বিভিন্ন উন্নয়নের জন্য সমান লড়াই করে যাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *